স্বদেশ ডেস্ক:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে পরমেশ্বরদী গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার পরমেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরমেশ্বর্দী গ্রামের ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ শেখ, সরোয়ার খাঁর অনুসারীদের সঙ্গে ইউপি মেম্বার সোহেল ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মানব উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মান্নান মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে বুধবার সকালে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সাতজন সদস্য আহত হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত চারজনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া গ্রামের সুজন শেখ, সুমন বিশ্বাস, মিজান ও ইব্রাহীম। এছাড়া তিনজন পুলিশ সদস্যকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কে এম মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ’
এ বিষয়ে মান্নান মাতুব্বর বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার সকালে মাসুদের লোকজন আমার গ্রুপের লোকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। বিষয়টি আমি আঁচ করতে পেরে বোয়ালমারী ও সালথা থানা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। ’
মাসুদ শেখ বলেন, ‘মান্নান মাতুব্বরের সাথে দল না করায় সে প্রায়ই আমার লোকদের লাঞ্চিত করত। গত সোমবার আমার চাচা ময়েনদিয়া বাজারে গেলে তাকে আক্রমণের চেষ্টা করলে তিনি দ্রুত মোটরসাইকেল যোগে স্থান ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে। বুধবার সকালে মান্নান মাতুব্বরের লোকজন আমার গ্রুপের লোকদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’